YouVersion Logo
Search Icon

প্রেরিতদের কার্য্য 2

2
পঞ্চশত্তমীর দিনের পবিত্র আত্মার আগমন
1এর পরে যখন পঞ্চশত্তমীর ইহুদীদের নিস্তারপর্ব্ব ভোজের পরে পঞ্চাশতম দিন কে পঞ্চশত্তমীর দিন বলে৷ দিন এলো, তাঁরা সবাই একমনে, এক জায়গায় মিলিত হয়ে প্রার্থনায় ছিলেন। 2তখন হঠাৎ স্বর্গ থেকে প্রচণ্ড গতির বায়ুর শব্দের মত শব্দ এলো, যে ঘরে তাঁরা বসে ছিলেন, সেই ঘরের সব জায়গায় তা ছড়িয়ে পড়ল। 3এবং জিভের মত দেখতে এমন অনেক আগুনের শিখা তাঁরা দেখতে পেলেন এবং সেগুলো তাঁদের প্রত্যেকের উপর অবস্থিতি করল। 4তারফলে তাঁরা সবাই পবিত্র আত্মায় পরিপূর্ণ হলেন, আত্মা যাকে যেমন যেমন ভাষা বলার শক্তি দিলেন, সেভাবে তাঁরা অন্য অন্য ভাষায় কথা বলতে আরম্ভ করলেন। 5সেদিন যিরূশালেমে বসবাসকারী ইহুদীরা এবং আকাশের নিচে প্রত্যেক জাতি থেকে আসা ঈশ্বরের লোকেরা, সেখানে ছিলেন। 6সেই শব্দ শুনে সেখানে অনেকে জড়ো হল এবং তারা সবাই খুবই অবাক হয়ে গেল, কারণ সবাই তাদের নিজের নিজের ভাষায় তাঁদের কথা বলতে শুনলেন। 7তখন সবাই খুবই আশ্চর্য্য ও অবাক হয়ে বলতে লাগলো, এই যে লোকেরা কথা বলছেন এরা সবাই কি গালীলীয় না? 8তবে আমরা কেমন করে আমাদের নিজেদের ভাষায় ওদের কথা বলতে শুনছি? 9পার্থীয়, মাদীয় ও এলমীয় এবং মেসোপটেমিয়া যিহূদিয়া ও কাপ্পাদকিয়া, পন্ত ও এশিয়া, 10ফুরুগিয়া ও পাম্ফুলিয়া, মিশর এবং লুবিয়া দেশের কুরিনীয়ের কাছে বসবাসকারী এবং রোম দেশের বাসিন্দারা। 11যিহূদী ও যিহূদী ধর্মে ধর্মান্তরিত অনেকে এবং ক্রীতীয় ও আরবের বাসিন্দা যে আমরা, সবাই নিজের নিজের ভাষায় ঈশ্বরের আশ্চর্য্য ও উত্তম কাজের কথা ওদের মুখ থেকে শুনছি। 12এসব দেখে তারা সবাই আশ্চর্য্য ও নির্বাক হয়ে একজন অন্য জনকে বলতে লাগলো, এসবের মানে কি? 13আবার অনেকে ব্যঙ্গ করে বলতে লাগলো এরা আঙ্গুরের রস পান করে মাতাল হয়েছে।
পিতরের বক্তৃতা
14তখন পিতর এগারো জন প্রেরিতের সঙ্গে দাঁড়িয়ে জোর গলায় তাঁদের উদ্দেশ্যে বললেন, হে যিহূদী ও যিরূশালেমের বাসিন্দারা, আপনাদের এর অর্থ জানা দরকার, তাই আপনারা আমার কথা মন দিয়ে শুনুন। 15কারণ আপনারা যা ভাবছেন তা নয়, এই লোকেরা কেউই মাতাল নয়, কারণ এখন মাত্র সকাল নয়টা। 16কিন্তু এটা সেই ঘটনা, যার বিষয়ে যোয়েল ভাববাদী বলেছেন, 17“শেষের দিনের এমন হবে, ঈশ্বর বলেন, আমি সমস্ত মাংসের উপরে আমার আত্মা ঢেলে দেব, তারফলে তোমাদের ছেলে ও মেয়েরা ভাববাণী বলবে, তোমাদের যুবকেরা দর্শন পাবে ও তোমাদের বৃদ্ধরাও স্বপ্ন দেখবে। 18আবার সেই দিন গুলোয় আমি আমার দাস ও দাসীদের উপরে আমার আত্মা ঢেলে দেব, আর তারা ভাববাণী বলবে। 19আমি আকাশে বিভিন্ন অদ্ভুত লক্ষণ এবং নীচে পৃথিবীতে নানারকম চিহ্ন, রক্ত, আগুনও ধোঁয়ার বাষ্পকুণ্ডলী দেখাব। 20প্রভুর সেই মহান ও বিশেষ দিনের র আগমনের আগে সূর্য্য অন্ধকারাচ্ছন্ন হয়ে যাবে এবং চাঁদ রক্তের মত লাল হয়ে যাবে, 21আর এমন হবে, প্রত্যেকে যারা প্রভুর নামে ডাকবে, তারা পরিত্রান পাবে।” 22হে ইস্রায়েলের লোকেরা এই কথা শুনুন। নাসরতের যীশু অলৌকিক, পরাক্রম ও চিহ্ন কাজের মাধ্যমে আপনাদের কাছে ঈশ্বর থেকে প্রমাণিত মানুষ, তাঁর মাধ্যমে ঈশ্বর আপনাদের মধ্য এই সমস্ত কাজ করেছেন, যেমন আপনারা সবাই জানেন; 23তাঁকে ঈশ্বরের পূর্ব পরিকল্পনা ও জ্ঞান অনুসারে সমর্পণ করা হয়েছিল আর আপনারা তাঁকে অধার্মিকদের দিয়ে ক্রুশে হত্যা করেছিলে। 24ঈশ্বর মৃত্যু যন্ত্রণা শিথিল করে তাঁকে মৃত্যু থেকে তুলেছেন; কারণ তাঁকে ধরে রাখা মৃত্যুর সাধ্য ছিল না। 25কারণ দায়ূদ তাঁর বিষয় বলেছেন, “আমি প্রভুকে সবদিন আমার সামনে দেখতাম; কারণ তিনি আমার ডানদিকে আছেন, যেন আমি অস্থির না হই। 26এই জন্য আমার মন আনন্দিত ও আমার জিভ উল্লাস করে; আর আমার শরীরও আশায় (নির্ভয়ে) বসবাস করবে; 27কারণ তুমি আমার প্রাণ মৃত্যুলোকে ত্যাগ করবে না, আর নিজের পবিত্রজনকে ক্ষয় দেখতে দেবে না। 28তুমি আমাকে জীবনের পথ দেখিয়েছ, তোমার শ্রীমুখ দিয়ে আমাকে আনন্দে পূর্ণ করবে।” 29ভাইয়েরা সেই পূর্বপুরুষ দায়ূদের বিষয় আমি জোর দিয়ে বলতে পারি যে, তিনি মারা গেছেন এবং তাঁকে কবর দেওয়া হয়েছে, আর তাঁর কবর আজ পর্যন্ত আমাদের মধ্যে আছে। 30সুতরাং, তিনি ভাববাদী ছিলেন এবং জানতেন, ঈশ্বর শপথ করে এই প্রতিশ্রুতি করেছিলেন যে, তাঁর বংশের এক জনকে তাঁর সিংহাসনে বসাবেন; 31এবং তিনি খ্রীষ্টের মৃত্যু থেকে জীবিত হবার বিষয় এই কথা বলেছিলেন যে, তাঁকে মৃত্যুলোকে ত্যাগ করা হয়নি, তাঁর মাংস ক্ষয় হবে না। 32এই যীশুকেই ঈশ্বর মৃত্যু থেকে তুলেছেন, আমরা সবাই যার সাক্ষী। 33সুতরাং, তোমরা যা দেখছ ও শুনছ তা এই, যে, ঈশ্বরের ডান পাশে উত্থানের পর এবং প্রতিজ্ঞামত পিতার থেকে পবিত্র আত্মা গ্রহণ করার পর, তিনি তা ঢেলে দিয়েছেন। 34কারণ রাজা দায়ূদ স্বর্গে ওঠেননি, কিন্তু নিজে এই কথা বলেছেন, “প্রভু আমার প্রভুকে বললেন, তুমি আমার ডানদিকে বস, 35যতক্ষণ না আমি তোমার শত্রুদের তোমার পা রাখার জায়গায় পরিণত করি।” 36“সুতরাং ইস্রায়েলের সমস্ত বংশ নিশ্চিত ভাবে জানুন যে, যাকে আপনারা ক্রুশে দিয়েছিলেন, সেই যীশুকেই ঈশ্বর প্রভু ও খ্রীষ্ট উভয়ই করেছেন।”
তিন হাজার লোক মণ্ডলীতে যুক্ত হয়
37এই কথা শুনে তাদের হৃদয়ে খুব আঘাত লাগল এবং তারা পিতর ও অন্য প্রেরিতদের বললেন, “ভাইয়েরা আমরা কি করব?” 38তখন পিতর তাদের বললেন, “আপনারা প্রত্যেকে আপনাদের পাপ ক্ষমার জন্য মন ফেরান এবং যীশু খ্রীষ্টের নামে বাপ্তিষ্ম নিন, তাহলে পবিত্র আত্মার দান পাবেন। 39কারণ এই প্রতিজ্ঞা আপনাদের ও আপনাদের সন্তানদের জন্য এবং যারা দূরে ও যত লোককে প্রভু আমাদের ঈশ্বর ডেকে আনবেন।” 40আরোও অনেক কথা বলে তিনি সাক্ষ্য দিয়েছিলেন ও তাদের অনুরোধ করে বলেছিলেন, “এই কালের মন্দ লোকেদের হাত থেকে তোমরা নিজেদের রক্ষা কর।” 41তখন যারা পিতরের কথা শুনল, তারা বাপ্তিষ্ম নিল, তারফলে সেই দিন প্রায় তিন হাজার আত্মা তাঁদের সঙ্গে যুক্ত হলো।
বিশ্বাসীদের সহভাগীতা।
42আর তারা প্রেরিতদের শিক্ষায় ও সহভাগীতায় (নিজেদের মধ্যে সব কিছু ভাগ করে নিতেন), রুটি ভাঙায় ও প্রার্থনায় দিন কাটাতেন। 43তখন সবার মধ্যে ভয় উপস্থিত হলো এবং প্রেরিতরা অনেক আশ্চর্য্য কাজ ও চিহ্ন-কার্য্য সাধন করতেন। 44আর যারা বিশ্বাস করলো, তারা সব কিছু একসঙ্গে রাখতেন; 45আর তারা তাদের সমস্ত সম্পত্তি ও জায়গা জমি বিক্রি করে, যার যেমন প্রয়োজন হত তাকে তেমন অর্থ দেওয়া হত। 46আর তারা প্রতিদিন একমনে মন্দিরে যেতেন এবং বাড়িতে আনন্দে ভাঙা রুটি খেতেন ও আনন্দের সঙ্গে এবং সরল মনে খাবার খেতেন, 47তারা ঈশ্বরের প্রশংসা করতেন এবং এতে সকল মানুষের কাছে তাঁরা ভালবাসার পাত্র পরিচিত হলেন। আর যারা পরিত্রান পাচ্ছিল, প্রভু তাদের প্রতিদিন মণ্ডলীতে যুক্ত করতেন।

Highlight

Share

Copy

None

Want to have your highlights saved across all your devices? Sign up or sign in

Video for প্রেরিতদের কার্য্য 2