প্রেরিতদের কার্য্য-বিবরণ 7
7
স্তিফানের বক্তব্য
1এরপর যাজক স্তিফানকে বললেন, “এসব কথা কি সত্যি?” 2এর উত্তরে স্তিফান বললেন, “ভাইরা ও এই জাতির পিতাগণ, আমার কথা শুনুন। আমাদের পিতৃপুরুষ অব্রাহাম হারণে বসবাস করার আগে যে সময় মিসপতামিয়াতে ছিলেন, সেই সময় মহিমাময় ঈশ্বর তাঁর সামনে আবির্ভূত হয়েছিলেন। 3আর তাঁকে বলেছিলেন, ‘তুমি তোমার স্বদেশ ও স্বজনের মধ্য থেকে চলে এস, আর আমি যে দেশ দেখাব সেই দেশে যাও।’#আদি 12:1
4“অব্রাহাম তখন কলদীয়ের দেশ ছেড়ে হারণে এসে বসবাস করেন। তাঁর বাবার মৃত্যুর পর ঈশ্বর তাঁকে সেখান থেকে এই দেশে আনলেন, যে দেশে এখন আপনারা বাস করছেন। 5এখানে ঈশ্বর তাঁকে কোন ভূসম্পত্তি দিলেন না, এমন কি এক ছটাক জমিও না; কিন্তু প্রতিশ্রুতি দিলেন যে শেষ পর্যন্ত এই দেশটা তাঁকে ও তাঁর বংশধরদের দেবেন। যদিও অব্রাহামের তখনও কোন সন্তান ছিল না।
6“ঈশ্বর তাঁকে এই কথা বললেন, ‘তোমার বংশধররা বিদেশে প্রবাসী জীবন কাটাবে, তারা দাসত্ব-শৃঙ্খলে বদ্ধ হবে, আর সে দেশের লোকরা তাদের প্রতি চারশো বছর ধরে অত্যাচার করবে। 7তারা যে জাতির দাসত্ব করবে, আমি তাদের দণ্ড দেব।’#আদি 15:13-14 ঈশ্বর আরো বললেন, ‘এরপর তারা সেই দেশ থেকে বেরিয়ে এসে এখানে আমার উপাসনা করবে।’#আদি 15:14; যাত্রা 3:12
8“এরপর অব্রাহামের সঙ্গে ঈশ্বর এক চুক্তি করলেন। এই চুক্তির চিহ্ন হল সুন্নত সংস্কার। এরপর অব্রাহামের একটি পুত্র সন্তান হল। আট দিনের দিন তিনি তার সুন্নত করালেন; সেই পুত্রের নাম ইস্হাক। তাঁরা ইস্হাকের পুত্র যাকোবেরও সুন্নত করলেন। যাকোবের পুত্ররা বারোজন গোষ্ঠীর পিতা হলেন।
9“তাদের সেই পিতাগণ যোষেফের প্রতি ঈর্ষান্বিত হলেন। যোষেফকে দাস ব্যবসায়ীদের কাছে বিক্রি করা হলে তাকে মিশরে নিয়ে আসা হল, কিন্তু ঈশ্বর তাঁর সহবর্তী ছিলেন। 10যোষেফ সেখানে অনেক কষ্ট পেয়েছিলেন; কিন্তু ঈশ্বর তাঁকে তাঁর সমস্ত কষ্টের হাত থেকে উদ্ধার করলেন। ফরৌণ তখন মিশরের রাজা। যোষেফের মধ্যে ঈশ্বরদত্ত বিজ্ঞতা দেখতে পেয়ে ফরৌণ তাঁকে পছন্দ করলেন। ফরৌণ যোষেফকে মিশরের অধ্যক্ষরূপে নিযুক্ত করলেন, এমনকি ফরৌণের গৃহের সমস্ত পরিজনের উপরে তাকে কর্তা করলেন। 11এরপর সারা মিশরে ও কনান দেশে প্রচণ্ড খরা হল—এমন খরা যাতে কোন ফসল উৎপন্ন হল না, এতে লোকেরা মহাকষ্টে পড়ল। আমাদের পিতৃপুরুষদের খাদ্যবস্তুর অভাব হল।
12“কিন্তু যাকোব শুনতে পেলেন যে মিশরে শস্য মজুত আছে, তখন তিনি আমাদের পিতৃপুরুষদের মিশরে পাঠালেন। 13তাঁদের সেই ছিল প্রথমবার মিশরে যাওয়া। তাঁরা যখন দ্বিতীয়বার সেখানে গেলেন, তখন যোষেফ নিজে থেকে তাঁর ভাইদের কাছে আত্মপরিচয় দিলেন। যোষেফের পরে পরিজনদের সংবাদ ফরৌণ শুনতে পেলেন। 14পরে কিছু লোক পাঠিয়ে যোষেফ তাঁর পিতা যাকোব ও তাঁর সব আত্মীয় পরিজনদের ডেকে পাঠালেন। তাঁরা মোট 75 জন ছিলেন। 15এইভাবে যাকোব মিশরে গেলেন, পরে তাঁর ও আমাদের পিতৃপুরুষদের সেখানে মৃত্যু হল। 16তাঁদের মৃতদেহ শিখিমে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল, আর সেখানে তাঁদের কবরে রাখা হয়। এই কবরস্থান অব্রাহাম শিখিম শহরে হমোরের ছেলেদের কাছ থেকে কিছু টাকা দিয়ে কিনেছিলেন।
17“মিশরে ইহুদীরা বৃদ্ধি পেয়ে বহুসংখ্যক হয়ে উঠল। ঈশ্বর অব্রাহামের কাছে যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন তা পূর্ণ হওয়ার সময় হল। 18মিশরে তখন অন্য একজন রাজা হয়েছেন। তিনি যোষেফের সম্পর্কে জানতেন না। 19এই রাজা আমাদের লোকদের সঙ্গে চাতুরী করলেন। তিনি আমাদের পিতৃপুরুষদের প্রতি দুর্ব্যবহার করতে লাগলেন। তাদের নবজাত শিশুদের জোর করে বাইরে ফেলে দিতে হুকুম দিলেন, যেন তারা মারা যায়।
20“সেই সময় মোশির জন্ম হয়, তিনি ঈশ্বরের দৃষ্টিতে সুন্দর ছিলেন, তিন মাস পর্যন্ত তিনি তাঁর পিতার গৃহেই লালিত-পালিত হন। 21পরে তাঁকে বাইরে রেখে দেওয়া হলে ফরৌণের কন্যা তাঁকে কুড়িয়ে এনে তাঁর নিজের ছেলের মত মানুষ করেন। 22মোশি মিশরীয়দের সমস্ত জ্ঞানে শিক্ষিত হয়ে উঠলেন, আর কথায় ও কাজে মহাক্ষমতাশালী হয়ে উঠলেন।
23“মোশির বয়স যখন চল্লিশ বছর তখন তাঁর ইস্রায়েলী ভাইদের সঙ্গে দেখা করার ইচ্ছা হল। 24মোশি দেখলেন যে একজন মিশরীয় একজন ইস্রায়েলীয়র প্রতি দুর্ব্যবহার করছে, তিনি তখন ইস্রায়েলী লোকটির পক্ষ সমর্থন করলেন। ইস্রায়েলী লোকটিকে আঘাত করার জন্য মোশি সেই মিশরীয়কে শাস্তি দিলেন এবং তাকে এমন মার দিলেন যে সে মরেই গেল। 25তিনি মনে করলেন যে তাঁর স্বজাতীয় ভাইরা হয়তো বুঝবে যে তাদের উদ্ধার করতে ঈশ্বরই তাকে পাঠিয়েছেন, কিন্তু তারা তা বুঝল না।
26“পরদিন, দুজন ইস্রায়েলী যখন নিজেদের মধ্যে মারামারি করছে, সেই সময় তিনি তাদের কাছে এসে তাদের মধ্যে মিলন করে দেবার জন্য বললেন, ‘দেখ, তোমরা পরস্পর ভাই। তবে কেন একে অপরের প্রতি দুর্ব্যবহার করছ?’ 27কিন্তু অন্যায়কারী লোকটি মোশিকে ধাক্কা মেরে সরিয়ে দিয়ে বলল, ‘আমাদের বিচার করতে কে তোমাকে অধিকার দিয়েছে? 28গতকাল তুমি যেমন সেই মিশরীয়কে খুন করেছিলে, তেমনি কি আমাকেও খুন করতে চাও?’#যাত্রা 2:14 29একথা শুনে মোশি মিশর থেকে পালিয়ে গেলেন; আর মিদিয়নে বিদেশীরূপে বাস করতে লাগলেন। সেখানে তিনি অপরিচিত আগন্তুকের মতো ছিলেন। সেখানে থাকার সময় মোশির দুই ছেলের জন্ম হয়।
30“এর চল্লিশ বছর পরে তিনি যখন সীনয় পর্বতের কাছে মরুপ্রান্তরে ছিলেন, সেখানে এক জ্বলন্ত ঝোপের আগুনের শিখার মধ্যে এক স্বর্গদূত তাঁকে দেখা দিলেন। 31এই দেখে মোশি আশ্চর্য হয়ে আরো ভাল করে দেখবার জন্য যখন কাছে গেলেন, তখন প্রভুর এই রব শুনলেন, 32‘আমি তোমার পিতৃপুরুষদের ঈশ্বর, অব্রাহামের, ইস্হাকের ও যাকোবের ঈশ্বর।’#যাত্রা 3:6 মোশি ভয়ে কাঁপতে লাগলেন, ভালভাবে তাকাতেও সাহস করলেন না।
33“এরপর প্রভু তাঁকে বললেন, ‘তোমার পা থেকে চটি (জুতো) খুলে ফেল, কারণ যেখানে তুমি দাঁড়িয়ে আছ, সেই জায়গা পবিত্র। 34মিশরে আমি আমার লোকদের দুরবস্থা ভাল করেই দেখেছি, তাদের আর্তনাদ শুনেছি, তাই আমি তাদের উদ্ধার করার জন্য নেমে এসেছি। মোশি, তুমি এস, এখন আমি তোমাকে মিশরে পাঠাব।’#যাত্রা 3:5-10
35“এই মোশিকেই ইস্রায়েলীয়রা চায় নি বলে বলেছিল, ‘কে তোমাকে আমাদের শাসক ও বিচারক বানিয়েছে?’#যাত্রা 2:14 মোশিই সেই ব্যক্তি যাকে ঈশ্বর স্বর্গদূতের মাধ্যমে শাসনকর্তা ও ত্রাণকর্তারূপে পাঠিয়েছিলেন। সেই স্বর্গদূতকেই মোশি জ্বলন্ত ঝোপের মধ্যে রেখেছিলেন। 36এরপর মোশি লোকদের মিশর থেকে বার করে আনলেন। তিনি মিশরে, লোহিত সাগরে আর প্রান্তরে চল্লিশ বছর ধরে বহু অলৌকিক ও পরাক্রমের কাজ করেন।
37“মোশিই তাঁর ইহুদী ভাইদের বলেছিলেন, ‘ঈশ্বর তোমাদের মধ্য থেকে এক ভাববাদী ঠিক করবেন, তিনি হবেন আমারই মতো।’#দ্বি. বি. 18:15 38এই মোশিই প্রান্তরে ইহুদীদের সমাবেশে ছিলেন। যে স্বর্গদূত সীনয় পর্বতে তাঁর সঙ্গে কথা বলেছিলেন, তিনি তাঁর সঙ্গে ও আমাদের পিতৃপুরুষদের সঙ্গে ছিলেন। মোশি ঈশ্বরের কাছ থেকে জীবনদায়ী আদেশ লাভ করে তাঁর আজ্ঞা সকল আমাদের দিয়েছিলেন।
39“কিন্তু আমাদের পিতৃপুরুষরা তাঁর কথা পালন করতে চান নি, তার পরিবর্তে তাঁরা তাঁকে অগ্রাহ্য করে মিশরে ফিরে যেতে চেয়েছিলেন। 40আমাদের পিতৃপুরুষরা হারোণকে বললেন, ‘মোশি আমাদের মিশর থেকে বার করে এনেছেন, কিন্তু তার কি হল আমরা কিছুই বুঝতে পারছি না। তাই কিছু দেবতাদের গড়ে তোল, যারা আমাদেব আগে আগে যাবে ও পরিচালিত করবে।’#যাত্রা 32:1 41তাই লোকেরা বাছুরের এক প্রতিমা গড়ল আর সেই প্রতিমার সামনে বলিদান উৎসর্গ করল। তারা তাদের হাতে গড়া সেই দেবতাকে নিয়ে আনন্দ করতে লাগল। 42কিন্তু ঈশ্বর তাদের প্রতি বিমুখ হলেন, তিনি তাদের আকাশের সেনা অর্থাৎ অলীক দেবতাদের পূজায় বাধা দিলেন না। ভাববাদীদের পুস্তকে একথা লেখা আছে:
‘হে ইস্রায়েলের গোষ্ঠী, প্রান্তরে চল্লিশ বছর ধরে তোমরা তো আমার উদ্দেশ্যে পশুবলি ও নৈবেদ্য উৎসর্গ কর নি;
43তোমরা মোলক দেবতার পূজার তাঁবু,
রিফান দেবতার নক্ষত্রের প্রতিমূর্তি বহন করেছিলে।
পূজা করবার জন্যই তোমরা ঐসব দেবতার মূর্তি গড়েছিলে।
তাই আমি তোমাদের বাবিলের ওপারে নির্বাসনে পাঠাব।’#আমোষ 5:25-27
44“মরু এলাকায় আমাদের সেই পিতৃপুরুষদের কাছেই সেই পবিত্র তাঁবু ছিল। এই পবিত্র তাঁবু তৈরী হয়েছিল সেই ধারায়, যেভাবে নমুনা দেখিয়ে ঈশ্বর মোশিকে তা করতে বলেছিলেন। 45পরবর্তীকালে যিহোশূয় আমাদের পিতৃপুরুষদের পরিচালিত করলে তাঁরা ভিন্ন জাতির দেশ দখল করলেন। আমাদের লোকরা সেই দেশে প্রবেশ করলে ঈশ্বর সেখানকার লোকদের সেই দেশ ছেড়ে চলে যেতে বাধ্য করলেন। আমাদের লোকরা এই নতুন দেশে গেলে ঐ তাঁবুও সঙ্গে নিয়ে এলেন। পিতৃপুরুষদের কাছ থেকে তাঁরা এই তাঁবু পেয়েছিলেন। সেই তাঁবু রাজা দায়ূদের সময় পর্যন্ত তাঁদের কাছে ছিল। 46দায়ূদ ঈশ্বরের দৃষ্টিতে বিশেষ অনুগ্রহ লাভ করলেন আর যাকোবের ঈশ্বরের জন্য এক গৃহ নির্মাণ করার অনুমতি চাইলেন। 47কিন্তু দায়ূদের ছেলে শলোমন তাঁর জন্য মন্দির নির্মাণ করলেন।
48“কিন্তু যিনি পরমেশ্বর তিনি কখনও মানুষের হাতে তৈরী গৃহে বাস করেন না। এ বিষয়ে ভাববাদী বলেছেন:
‘প্রভু বলেন,
49স্বর্গ আমার সিংহাসন।
পৃথিবী আমার পা রাখার জায়গা।
তুমি আমার জন্য কিরূপ গৃহ নির্মাণ করবে?
আমার বিশ্রামের স্থান কোথায়!
50আমার হাতই কি এই বস্তুগুলি নির্মাণ করে নি!’#যিশাইয় 66:1-2
51“আপনারা একগুঁয়ে লোক! ঈশ্বরকে আপনারা নিজ নিজ হৃদয় সঁপে দেন নি! আপনারা তাঁর কথা শুনতে চান নি! আপনারা সব সময় পবিত্র আত্মা যা বলতে চাইছেন তা প্রতিরোধ করে এসেছেন। আপনাদের পিতৃপুরুষরা যেমন করেছিলেন, আপনারাও তাদের মতোই করছেন। 52এমন কোন ভাববাদী ছিলেন কি যাকে আপনাদের পিতৃপুরুষরা নির্যাতন করেন নি? সেই ধার্মিক ব্যক্তির আগমণের কথা যাঁরা বহুপূর্বে ঘোষণা করেছিলেন আপনাদের পিতৃপুরুষরা তাদের খুন করেছেন; আর এখন আপনারা সেই ধার্মিককে শত্রুর হাতে সঁপে দিয়ে হত্যা করছেন। 53আপনারা মোশির বিধি-ব্যবস্থা পেয়েছিলেন, ঈশ্বরই তাঁর স্বর্গদূতদের মাধ্যমে তা দিয়েছিলেন, কিন্তু আপনারা তা পালন করেন নি!”
স্তিফানকে হত্যা
54ইহুদী নেতারা স্তিফানের এইসব কথা শুনে প্রচণ্ড রেগে গেল। স্তিফানের প্রতি তারা ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে দাঁতে দাঁত ঘষতে লাগল। 55স্তিফান পবিত্র আত্মায় পূর্ণ হয়ে স্বর্গের দিকে তাকালেন আর দেখলেন ঈশ্বরের মহিমা, দেখলেন যীশু ঈশ্বরের ডানদিকে দাঁড়িয়ে আছেন। 56তিনি বললেন, “দেখ! আমি দেখছি স্বর্গ খোলা রয়েছে; আর মানবপুত্র ঈশ্বরের ডানদিকে দাঁড়িয়ে আছেন!”
57তখন ইহুদী নেতারা জোরে চিৎকার করে উঠল, আর নিজেদের কানে হাত চাপা দিল। এরপর সবাই মিলে এক সঙ্গে তাঁর দিকে ছুটে গেল। 58তারা স্তিফানকে মেরে ফেলার জন্য তাঁকে টানতে টানতে শহর থেকে বাইরে নিয়ে গিয়ে পাথর মারতে লাগল। যারা স্তিফানের বিরুদ্ধে মিথ্যা সাক্ষ্য দিতে এসেছিল, তারা শৌল নামে এক যুবকের পায়ের কাছে তাদের আলখাল্লা খুলে জমা রাখল। 59তারা যখন স্তিফানকে পাথর মেরে চলেছে তখন তিনি প্রার্থনা করে বললেন, “প্রভু যীশু আমার আত্মাকে গ্রহণ কর!” 60এরপর তিনি হাঁটু গেড়ে বসে চিৎকার করে বললেন, “প্রভু, এদের বিরুদ্ধে এই পাপ গন্য করো না!” এই বলে তিনি মৃত্যুতে ঢলে পড়লেন।
Currently Selected:
প্রেরিতদের কার্য্য-বিবরণ 7: BERV
Highlight
Share
Copy
Want to have your highlights saved across all your devices? Sign up or sign in
Bengali Holy Bible: Easy-to-Read Version
All rights reserved.
© 2001 Bible League International
প্রেরিতদের কার্য্য-বিবরণ 7
7
স্তিফানের বক্তব্য
1এরপর যাজক স্তিফানকে বললেন, “এসব কথা কি সত্যি?” 2এর উত্তরে স্তিফান বললেন, “ভাইরা ও এই জাতির পিতাগণ, আমার কথা শুনুন। আমাদের পিতৃপুরুষ অব্রাহাম হারণে বসবাস করার আগে যে সময় মিসপতামিয়াতে ছিলেন, সেই সময় মহিমাময় ঈশ্বর তাঁর সামনে আবির্ভূত হয়েছিলেন। 3আর তাঁকে বলেছিলেন, ‘তুমি তোমার স্বদেশ ও স্বজনের মধ্য থেকে চলে এস, আর আমি যে দেশ দেখাব সেই দেশে যাও।’#আদি 12:1
4“অব্রাহাম তখন কলদীয়ের দেশ ছেড়ে হারণে এসে বসবাস করেন। তাঁর বাবার মৃত্যুর পর ঈশ্বর তাঁকে সেখান থেকে এই দেশে আনলেন, যে দেশে এখন আপনারা বাস করছেন। 5এখানে ঈশ্বর তাঁকে কোন ভূসম্পত্তি দিলেন না, এমন কি এক ছটাক জমিও না; কিন্তু প্রতিশ্রুতি দিলেন যে শেষ পর্যন্ত এই দেশটা তাঁকে ও তাঁর বংশধরদের দেবেন। যদিও অব্রাহামের তখনও কোন সন্তান ছিল না।
6“ঈশ্বর তাঁকে এই কথা বললেন, ‘তোমার বংশধররা বিদেশে প্রবাসী জীবন কাটাবে, তারা দাসত্ব-শৃঙ্খলে বদ্ধ হবে, আর সে দেশের লোকরা তাদের প্রতি চারশো বছর ধরে অত্যাচার করবে। 7তারা যে জাতির দাসত্ব করবে, আমি তাদের দণ্ড দেব।’#আদি 15:13-14 ঈশ্বর আরো বললেন, ‘এরপর তারা সেই দেশ থেকে বেরিয়ে এসে এখানে আমার উপাসনা করবে।’#আদি 15:14; যাত্রা 3:12
8“এরপর অব্রাহামের সঙ্গে ঈশ্বর এক চুক্তি করলেন। এই চুক্তির চিহ্ন হল সুন্নত সংস্কার। এরপর অব্রাহামের একটি পুত্র সন্তান হল। আট দিনের দিন তিনি তার সুন্নত করালেন; সেই পুত্রের নাম ইস্হাক। তাঁরা ইস্হাকের পুত্র যাকোবেরও সুন্নত করলেন। যাকোবের পুত্ররা বারোজন গোষ্ঠীর পিতা হলেন।
9“তাদের সেই পিতাগণ যোষেফের প্রতি ঈর্ষান্বিত হলেন। যোষেফকে দাস ব্যবসায়ীদের কাছে বিক্রি করা হলে তাকে মিশরে নিয়ে আসা হল, কিন্তু ঈশ্বর তাঁর সহবর্তী ছিলেন। 10যোষেফ সেখানে অনেক কষ্ট পেয়েছিলেন; কিন্তু ঈশ্বর তাঁকে তাঁর সমস্ত কষ্টের হাত থেকে উদ্ধার করলেন। ফরৌণ তখন মিশরের রাজা। যোষেফের মধ্যে ঈশ্বরদত্ত বিজ্ঞতা দেখতে পেয়ে ফরৌণ তাঁকে পছন্দ করলেন। ফরৌণ যোষেফকে মিশরের অধ্যক্ষরূপে নিযুক্ত করলেন, এমনকি ফরৌণের গৃহের সমস্ত পরিজনের উপরে তাকে কর্তা করলেন। 11এরপর সারা মিশরে ও কনান দেশে প্রচণ্ড খরা হল—এমন খরা যাতে কোন ফসল উৎপন্ন হল না, এতে লোকেরা মহাকষ্টে পড়ল। আমাদের পিতৃপুরুষদের খাদ্যবস্তুর অভাব হল।
12“কিন্তু যাকোব শুনতে পেলেন যে মিশরে শস্য মজুত আছে, তখন তিনি আমাদের পিতৃপুরুষদের মিশরে পাঠালেন। 13তাঁদের সেই ছিল প্রথমবার মিশরে যাওয়া। তাঁরা যখন দ্বিতীয়বার সেখানে গেলেন, তখন যোষেফ নিজে থেকে তাঁর ভাইদের কাছে আত্মপরিচয় দিলেন। যোষেফের পরে পরিজনদের সংবাদ ফরৌণ শুনতে পেলেন। 14পরে কিছু লোক পাঠিয়ে যোষেফ তাঁর পিতা যাকোব ও তাঁর সব আত্মীয় পরিজনদের ডেকে পাঠালেন। তাঁরা মোট 75 জন ছিলেন। 15এইভাবে যাকোব মিশরে গেলেন, পরে তাঁর ও আমাদের পিতৃপুরুষদের সেখানে মৃত্যু হল। 16তাঁদের মৃতদেহ শিখিমে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল, আর সেখানে তাঁদের কবরে রাখা হয়। এই কবরস্থান অব্রাহাম শিখিম শহরে হমোরের ছেলেদের কাছ থেকে কিছু টাকা দিয়ে কিনেছিলেন।
17“মিশরে ইহুদীরা বৃদ্ধি পেয়ে বহুসংখ্যক হয়ে উঠল। ঈশ্বর অব্রাহামের কাছে যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন তা পূর্ণ হওয়ার সময় হল। 18মিশরে তখন অন্য একজন রাজা হয়েছেন। তিনি যোষেফের সম্পর্কে জানতেন না। 19এই রাজা আমাদের লোকদের সঙ্গে চাতুরী করলেন। তিনি আমাদের পিতৃপুরুষদের প্রতি দুর্ব্যবহার করতে লাগলেন। তাদের নবজাত শিশুদের জোর করে বাইরে ফেলে দিতে হুকুম দিলেন, যেন তারা মারা যায়।
20“সেই সময় মোশির জন্ম হয়, তিনি ঈশ্বরের দৃষ্টিতে সুন্দর ছিলেন, তিন মাস পর্যন্ত তিনি তাঁর পিতার গৃহেই লালিত-পালিত হন। 21পরে তাঁকে বাইরে রেখে দেওয়া হলে ফরৌণের কন্যা তাঁকে কুড়িয়ে এনে তাঁর নিজের ছেলের মত মানুষ করেন। 22মোশি মিশরীয়দের সমস্ত জ্ঞানে শিক্ষিত হয়ে উঠলেন, আর কথায় ও কাজে মহাক্ষমতাশালী হয়ে উঠলেন।
23“মোশির বয়স যখন চল্লিশ বছর তখন তাঁর ইস্রায়েলী ভাইদের সঙ্গে দেখা করার ইচ্ছা হল। 24মোশি দেখলেন যে একজন মিশরীয় একজন ইস্রায়েলীয়র প্রতি দুর্ব্যবহার করছে, তিনি তখন ইস্রায়েলী লোকটির পক্ষ সমর্থন করলেন। ইস্রায়েলী লোকটিকে আঘাত করার জন্য মোশি সেই মিশরীয়কে শাস্তি দিলেন এবং তাকে এমন মার দিলেন যে সে মরেই গেল। 25তিনি মনে করলেন যে তাঁর স্বজাতীয় ভাইরা হয়তো বুঝবে যে তাদের উদ্ধার করতে ঈশ্বরই তাকে পাঠিয়েছেন, কিন্তু তারা তা বুঝল না।
26“পরদিন, দুজন ইস্রায়েলী যখন নিজেদের মধ্যে মারামারি করছে, সেই সময় তিনি তাদের কাছে এসে তাদের মধ্যে মিলন করে দেবার জন্য বললেন, ‘দেখ, তোমরা পরস্পর ভাই। তবে কেন একে অপরের প্রতি দুর্ব্যবহার করছ?’ 27কিন্তু অন্যায়কারী লোকটি মোশিকে ধাক্কা মেরে সরিয়ে দিয়ে বলল, ‘আমাদের বিচার করতে কে তোমাকে অধিকার দিয়েছে? 28গতকাল তুমি যেমন সেই মিশরীয়কে খুন করেছিলে, তেমনি কি আমাকেও খুন করতে চাও?’#যাত্রা 2:14 29একথা শুনে মোশি মিশর থেকে পালিয়ে গেলেন; আর মিদিয়নে বিদেশীরূপে বাস করতে লাগলেন। সেখানে তিনি অপরিচিত আগন্তুকের মতো ছিলেন। সেখানে থাকার সময় মোশির দুই ছেলের জন্ম হয়।
30“এর চল্লিশ বছর পরে তিনি যখন সীনয় পর্বতের কাছে মরুপ্রান্তরে ছিলেন, সেখানে এক জ্বলন্ত ঝোপের আগুনের শিখার মধ্যে এক স্বর্গদূত তাঁকে দেখা দিলেন। 31এই দেখে মোশি আশ্চর্য হয়ে আরো ভাল করে দেখবার জন্য যখন কাছে গেলেন, তখন প্রভুর এই রব শুনলেন, 32‘আমি তোমার পিতৃপুরুষদের ঈশ্বর, অব্রাহামের, ইস্হাকের ও যাকোবের ঈশ্বর।’#যাত্রা 3:6 মোশি ভয়ে কাঁপতে লাগলেন, ভালভাবে তাকাতেও সাহস করলেন না।
33“এরপর প্রভু তাঁকে বললেন, ‘তোমার পা থেকে চটি (জুতো) খুলে ফেল, কারণ যেখানে তুমি দাঁড়িয়ে আছ, সেই জায়গা পবিত্র। 34মিশরে আমি আমার লোকদের দুরবস্থা ভাল করেই দেখেছি, তাদের আর্তনাদ শুনেছি, তাই আমি তাদের উদ্ধার করার জন্য নেমে এসেছি। মোশি, তুমি এস, এখন আমি তোমাকে মিশরে পাঠাব।’#যাত্রা 3:5-10
35“এই মোশিকেই ইস্রায়েলীয়রা চায় নি বলে বলেছিল, ‘কে তোমাকে আমাদের শাসক ও বিচারক বানিয়েছে?’#যাত্রা 2:14 মোশিই সেই ব্যক্তি যাকে ঈশ্বর স্বর্গদূতের মাধ্যমে শাসনকর্তা ও ত্রাণকর্তারূপে পাঠিয়েছিলেন। সেই স্বর্গদূতকেই মোশি জ্বলন্ত ঝোপের মধ্যে রেখেছিলেন। 36এরপর মোশি লোকদের মিশর থেকে বার করে আনলেন। তিনি মিশরে, লোহিত সাগরে আর প্রান্তরে চল্লিশ বছর ধরে বহু অলৌকিক ও পরাক্রমের কাজ করেন।
37“মোশিই তাঁর ইহুদী ভাইদের বলেছিলেন, ‘ঈশ্বর তোমাদের মধ্য থেকে এক ভাববাদী ঠিক করবেন, তিনি হবেন আমারই মতো।’#দ্বি. বি. 18:15 38এই মোশিই প্রান্তরে ইহুদীদের সমাবেশে ছিলেন। যে স্বর্গদূত সীনয় পর্বতে তাঁর সঙ্গে কথা বলেছিলেন, তিনি তাঁর সঙ্গে ও আমাদের পিতৃপুরুষদের সঙ্গে ছিলেন। মোশি ঈশ্বরের কাছ থেকে জীবনদায়ী আদেশ লাভ করে তাঁর আজ্ঞা সকল আমাদের দিয়েছিলেন।
39“কিন্তু আমাদের পিতৃপুরুষরা তাঁর কথা পালন করতে চান নি, তার পরিবর্তে তাঁরা তাঁকে অগ্রাহ্য করে মিশরে ফিরে যেতে চেয়েছিলেন। 40আমাদের পিতৃপুরুষরা হারোণকে বললেন, ‘মোশি আমাদের মিশর থেকে বার করে এনেছেন, কিন্তু তার কি হল আমরা কিছুই বুঝতে পারছি না। তাই কিছু দেবতাদের গড়ে তোল, যারা আমাদেব আগে আগে যাবে ও পরিচালিত করবে।’#যাত্রা 32:1 41তাই লোকেরা বাছুরের এক প্রতিমা গড়ল আর সেই প্রতিমার সামনে বলিদান উৎসর্গ করল। তারা তাদের হাতে গড়া সেই দেবতাকে নিয়ে আনন্দ করতে লাগল। 42কিন্তু ঈশ্বর তাদের প্রতি বিমুখ হলেন, তিনি তাদের আকাশের সেনা অর্থাৎ অলীক দেবতাদের পূজায় বাধা দিলেন না। ভাববাদীদের পুস্তকে একথা লেখা আছে:
‘হে ইস্রায়েলের গোষ্ঠী, প্রান্তরে চল্লিশ বছর ধরে তোমরা তো আমার উদ্দেশ্যে পশুবলি ও নৈবেদ্য উৎসর্গ কর নি;
43তোমরা মোলক দেবতার পূজার তাঁবু,
রিফান দেবতার নক্ষত্রের প্রতিমূর্তি বহন করেছিলে।
পূজা করবার জন্যই তোমরা ঐসব দেবতার মূর্তি গড়েছিলে।
তাই আমি তোমাদের বাবিলের ওপারে নির্বাসনে পাঠাব।’#আমোষ 5:25-27
44“মরু এলাকায় আমাদের সেই পিতৃপুরুষদের কাছেই সেই পবিত্র তাঁবু ছিল। এই পবিত্র তাঁবু তৈরী হয়েছিল সেই ধারায়, যেভাবে নমুনা দেখিয়ে ঈশ্বর মোশিকে তা করতে বলেছিলেন। 45পরবর্তীকালে যিহোশূয় আমাদের পিতৃপুরুষদের পরিচালিত করলে তাঁরা ভিন্ন জাতির দেশ দখল করলেন। আমাদের লোকরা সেই দেশে প্রবেশ করলে ঈশ্বর সেখানকার লোকদের সেই দেশ ছেড়ে চলে যেতে বাধ্য করলেন। আমাদের লোকরা এই নতুন দেশে গেলে ঐ তাঁবুও সঙ্গে নিয়ে এলেন। পিতৃপুরুষদের কাছ থেকে তাঁরা এই তাঁবু পেয়েছিলেন। সেই তাঁবু রাজা দায়ূদের সময় পর্যন্ত তাঁদের কাছে ছিল। 46দায়ূদ ঈশ্বরের দৃষ্টিতে বিশেষ অনুগ্রহ লাভ করলেন আর যাকোবের ঈশ্বরের জন্য এক গৃহ নির্মাণ করার অনুমতি চাইলেন। 47কিন্তু দায়ূদের ছেলে শলোমন তাঁর জন্য মন্দির নির্মাণ করলেন।
48“কিন্তু যিনি পরমেশ্বর তিনি কখনও মানুষের হাতে তৈরী গৃহে বাস করেন না। এ বিষয়ে ভাববাদী বলেছেন:
‘প্রভু বলেন,
49স্বর্গ আমার সিংহাসন।
পৃথিবী আমার পা রাখার জায়গা।
তুমি আমার জন্য কিরূপ গৃহ নির্মাণ করবে?
আমার বিশ্রামের স্থান কোথায়!
50আমার হাতই কি এই বস্তুগুলি নির্মাণ করে নি!’#যিশাইয় 66:1-2
51“আপনারা একগুঁয়ে লোক! ঈশ্বরকে আপনারা নিজ নিজ হৃদয় সঁপে দেন নি! আপনারা তাঁর কথা শুনতে চান নি! আপনারা সব সময় পবিত্র আত্মা যা বলতে চাইছেন তা প্রতিরোধ করে এসেছেন। আপনাদের পিতৃপুরুষরা যেমন করেছিলেন, আপনারাও তাদের মতোই করছেন। 52এমন কোন ভাববাদী ছিলেন কি যাকে আপনাদের পিতৃপুরুষরা নির্যাতন করেন নি? সেই ধার্মিক ব্যক্তির আগমণের কথা যাঁরা বহুপূর্বে ঘোষণা করেছিলেন আপনাদের পিতৃপুরুষরা তাদের খুন করেছেন; আর এখন আপনারা সেই ধার্মিককে শত্রুর হাতে সঁপে দিয়ে হত্যা করছেন। 53আপনারা মোশির বিধি-ব্যবস্থা পেয়েছিলেন, ঈশ্বরই তাঁর স্বর্গদূতদের মাধ্যমে তা দিয়েছিলেন, কিন্তু আপনারা তা পালন করেন নি!”
স্তিফানকে হত্যা
54ইহুদী নেতারা স্তিফানের এইসব কথা শুনে প্রচণ্ড রেগে গেল। স্তিফানের প্রতি তারা ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে দাঁতে দাঁত ঘষতে লাগল। 55স্তিফান পবিত্র আত্মায় পূর্ণ হয়ে স্বর্গের দিকে তাকালেন আর দেখলেন ঈশ্বরের মহিমা, দেখলেন যীশু ঈশ্বরের ডানদিকে দাঁড়িয়ে আছেন। 56তিনি বললেন, “দেখ! আমি দেখছি স্বর্গ খোলা রয়েছে; আর মানবপুত্র ঈশ্বরের ডানদিকে দাঁড়িয়ে আছেন!”
57তখন ইহুদী নেতারা জোরে চিৎকার করে উঠল, আর নিজেদের কানে হাত চাপা দিল। এরপর সবাই মিলে এক সঙ্গে তাঁর দিকে ছুটে গেল। 58তারা স্তিফানকে মেরে ফেলার জন্য তাঁকে টানতে টানতে শহর থেকে বাইরে নিয়ে গিয়ে পাথর মারতে লাগল। যারা স্তিফানের বিরুদ্ধে মিথ্যা সাক্ষ্য দিতে এসেছিল, তারা শৌল নামে এক যুবকের পায়ের কাছে তাদের আলখাল্লা খুলে জমা রাখল। 59তারা যখন স্তিফানকে পাথর মেরে চলেছে তখন তিনি প্রার্থনা করে বললেন, “প্রভু যীশু আমার আত্মাকে গ্রহণ কর!” 60এরপর তিনি হাঁটু গেড়ে বসে চিৎকার করে বললেন, “প্রভু, এদের বিরুদ্ধে এই পাপ গন্য করো না!” এই বলে তিনি মৃত্যুতে ঢলে পড়লেন।
Currently Selected:
:
Highlight
Share
Copy
Want to have your highlights saved across all your devices? Sign up or sign in
Bengali Holy Bible: Easy-to-Read Version
All rights reserved.
© 2001 Bible League International