মথি ৯
৯
যীশু একজন পক্ষাঘাতগ্রস্ত লোককে আরোগ্য করেন, ও তাহার পাপ ক্ষমা করেন #মার্ক ২:৩-২২; লূক ৫:১৮-৩৮
1 পরে তিনি নৌকায় উঠিয়া পার হইলেন, এবং নিজ নগরে আসিলেন। আর দেখ, কয়েক জন লোক তাঁহার নিকটে একজন পক্ষাঘাতীকে আনিল, সে খাটের উপরে শোয়ান ছিল। 2 যীশু তাহাদের বিশ্বাস দেখিয়া সেই পক্ষাঘাতীকে কহিলেন, বৎস, সাহস কর, তোমার পাপ ক্ষমা হইল। 3 আর দেখ, কয়েক জন অধ্যাপক মনে মনে কহিল, এই ব্যক্তি ঈশ্বর-নিন্দা করিতেছে। 4 তখন যীশু তাহাদের চিন্তা বুঝিয়া কহিলেন, তোমরা কেন মনে মনে কুচিন্তা করিতেছ? 5 কারণ, কোনটা সহজ, ‘তোমার পাপ ক্ষমা হইল’ বলা, না ‘তুমি উঠিয়া বেড়াও’ বলা? 6 কিন্তু পৃথিবীতে পাপ ক্ষমা করিতে মনুষ্যপুত্রের ক্ষমতা আছে, ইহা যেন তোমরা জানিতে পার, এই জন্য- তিনি সেই পক্ষাঘাতীকে বলিলেন- উঠ, তোমার শয্যা তুলিয়া লও, এবং তোমার ঘরে চলিয়া যাও। 7 তখন সে উঠিয়া আপন গৃহে চলিয়া গেল। 8 তাহা দেখিয়া লোকসমূহ ভীত হইল, আর ঈশ্বর মনুষ্যকে এমন ক্ষমতা দিয়াছেন বলিয়া তাঁহার গৌরব করিল।
মথির আহ্বান ও তৎসম্বন্ধে যীশুর শিক্ষা
9 আর সেই স্থান হইতে যাইতে যাইতে যীশু দেখিলেন, মথি নামক এক ব্যক্তি করগ্রহণ-স্থানে বসিয়া আছে; তিনি তাহাকে কহিলেন, আমার পশ্চাৎ আইস। তাহাতে সে উঠিয়া তাঁহার পশ্চাৎ গমন করিল।
10 পরে তিনি গৃহমধ্যে ভোজন করিতে বসিয়াছেন, আর দেখ, অনেক করগ্রাহী ও পাপী আসিয়া যীশুর এবং তাঁহার শিষ্যদের সহিত বসিল। 11 তাহা দেখিয়া ফরীশীরা তাঁহার শিষ্যদিগকে কহিল, তোমাদের গুরু কি জন্য করগ্রাহী ও পাপীদের সহিত ভোজন করেন? 12 তাহা শুনিয়া তিনি কহিলেন, সুস্থ লোকদের চিকিৎসকের প্রয়োজন নাই, বরং পীড়িতদেরই প্রয়োজন আছে। 13 কিন্তু তোমরা গিয়া শিক্ষা কর, এই বচনের মর্ম কি, “আমি দয়াই চাই, বলিদান নয়”; #হোশে ৬:৬ কেননা আমি ধার্মিকদিগকে নয়, কিন্তু পাপীদিগকে ডাকিতে আসিয়াছি।
14 তখন যোহনের শিষ্যগণ তাঁহার নিকটে আসিয়া কহিল, ফরীশীরা ও আমরা অনেক বার উপবাস করি, কিন্তু আপনার শিষ্যগণ উপবাস করে না, ইহার কারণ কি? 15 যীশু তাঁহাদিগকে কহিলেন, বর সঙ্গে থাকিতে কি বাসর ঘরের লোকে বিলাপ করিতে পারে? কিন্তু এমন সময় আসিবে, যখন তাহাদের নিকট হইতে বর নীত হইবেন; তখন তাহারা উপবাস করিবে। 16 পুরাতন বস্ত্রে কেহ নূতন কাপড়ের তালি দেয় না, কেননা তাহার তালিতে বস্ত্র ছিঁড়িয়া যায়, এবং আরও মন্দ ছিদ্র হয়। 17 আর লোকে পুরাতন কূপায় নূতন দ্রাক্ষারস রাখে না; রাখিলে কূপাগুলি ফাটিয়া যায়, তাহাতে দ্রাক্ষারস পড়িয়া যায়, কূপাগুলিও নষ্ট হয়; কিন্তু লোকে নূতন কূপাতেই টাট্কা দ্রাক্ষারস রাখে, তাহাতে উভয়েরই রক্ষা হয়।
যীশু এক রুগ্ন স্ত্রীলোককে সুস্থ করেন, ও একটি মৃত বালিকাকে জীবন দেন #মার্ক ৫:২২-৪৩; লূক ৮:৪১-৫৬
18 তিনি তাহাদিগকে এই সকল কথা কহিতেছেন, আর দেখ, একজন অধ্যক্ষ আসিয়া তাঁহাকে প্রণাম করিয়া কহিলেন, আমার কন্যাটি এতক্ষণ মরিয়া গিয়াছে; কিন্তু আপনি আসিয়া তাহার উপরে হস্তার্পণ করুন, তাহাতে সে বাঁচিবে। 19 তখন যীশু উঠিয়া তাঁহার পশ্চাৎ গমন করিলেন, তাঁহার শিষ্যগণও চলিলেন। 20 আর দেখ, বারো বৎসর অবধি প্রদর রোগগ্রস্ত একজন স্ত্রীলোক তাঁহার পশ্চাৎ দিকে আসিয়া তাঁহার বস্ত্রের থোপ স্পর্শ করিল; 21 কারণ সে মনে মনে বলিতেছিল, উহাঁর বস্ত্রমাত্র স্পর্শ করিতে পারিলেই আমি সুস্থ হইব। 22 তখন যীশু মুখ ফিরাইয়া তাহাকে দেখিয়া কহিলেন, বৎসে সাহস কর, তোমার বিশ্বাস তোমাকে সুস্থ করিল। সেই দণ্ড অবধি স্ত্রীলোকটি সুস্থ হইল।
23 পরে যীশু সেই অধ্যক্ষের বাটীতে আসিয়া যখন দেখিলেন, বংশীবাদকগণ রহিয়াছে, ও লোকেরা কোলাহল করিতেছে, 24 তখন বলিলেন, সরিয়া যাও, কন্যাটি ত মরে নাই, ঘুমাইয়া রহিয়াছে। তখন তাহারা তাঁহাকে উপহাস করিল। 25 কিন্তু লোকদিগকে বাহির করিয়া দেওয়া হইলে তিনি ভিতরে গিয়া কন্যাটির হাত ধরিলেন, তাহাতে সে উঠিল। 26 আর এই জনরব সেই দেশময় ব্যাপিল।
যীশু দুই জন অন্ধকে ও একজন গোঁগাকে সুস্থ করেন
27 পরে যীশু সেই স্থান হইতে প্রস্থান করিলে, দুই জন অন্ধ তাঁহার পশ্চাৎ পশ্চাৎ চলিল; তাহারা চেঁচাইয়া বলিতে লাগিল, হে দায়ূদ-সন্তান, আমাদের প্রতি দয়া করুন। 28 তিনি গৃহমধ্যে প্রবেশ করিলে পর সেই অন্ধেরা তাঁহার নিকটে আসিল; তখন যীশু তাহাদিগকে কহিলেন, তোমরা কি বিশ্বাস কর যে, আমি ইহা করিতে পারি? তাহারা তাঁহাকে বলিল, হাঁ, প্রভু। 29 তখন তিনি তাহাদের চক্ষু স্পর্শ করিলেন, আর কহিলেন, তোমাদের বিশ্বাস অনুসারে তোমাদের প্রতি হউক। 30 তখন তাহাদের চক্ষু খুলিয়া গেল। আর যীশু তাহাদিগকে দৃঢ়রূপে নিষেধ করিয়া দিলেন, কহিলেন, দেখিও, যেন কেহ ইহা জানিতে না পায়। 31 কিন্তু তাহারা বহিরে গিয়া সেই দেশময় তাঁহার কীর্তি প্রকাশ করিল।
32 তাহারা বাহিরে যাইতেছে, আর দেখ, লোকেরা এক ভূতগ্রস্ত গোঁগাকে তাঁহার নিকটে আনিল। 33 ভূত ছাড়ান হইলে সেই গোঁগা কথা কহিতে লাগিল; তখন লোক সকল আশ্চর্য জ্ঞান করিয়া কহিল, ইস্রায়েলের মধ্যে এমন কখনও দেখা যায় নাই। 34 কিন্তু ফরীশীরা বলিতে লাগিল, ভূতগণের অধিপতি দ্বারা সে ভূত ছাড়ায়।
যীশু বারো জন শিষ্যকে প্রেরিতপদে নিযুক্ত করেন
35 আর যীশু সমস্ত নগরে ও গ্রামে ভ্রমণ করিতে লাগিলেন; তিনি লোকদের সমাজ-গৃহে উপদেশ দিলেন ও রাজ্যের সুসমাচার প্রচার করিলেন, এবং সর্বপ্রকার রোগ ও সর্বপ্রকার ব্যাধি আরোগ্য করিলেন। 36 কিন্তু বিস্তর লোক দেখিয়া তিনি তাহাদের প্রতি করুণাবিষ্ট হইলেন, কেননা তাহারা ব্যাকুল ও ছিন্নভিন্ন ছিল, যেন পালকবিহীন মেষপাল। 37 তখন তিনি আপন শিষ্যদিগকে কহিলেন, শস্য প্রচুর বটে, কিন্তু কার্যকারী লোক অল্প; 38 অতএব শস্যক্ষেত্রের স্বামীর নিকটে প্রার্থনা কর, যেন তিনি নিজ শস্যক্ষেত্রে কার্যকারী লোক পাঠাইয়া দেন।
Currently Selected:
মথি ৯: বিবিএস-গসপেল
Highlight
Share
Copy
Want to have your highlights saved across all your devices? Sign up or sign in
Copyright © 2023 Bangladesh Bible Society. All rights reserved.
মথি ৯
৯
যীশু একজন পক্ষাঘাতগ্রস্ত লোককে আরোগ্য করেন, ও তাহার পাপ ক্ষমা করেন #মার্ক ২:৩-২২; লূক ৫:১৮-৩৮
1 পরে তিনি নৌকায় উঠিয়া পার হইলেন, এবং নিজ নগরে আসিলেন। আর দেখ, কয়েক জন লোক তাঁহার নিকটে একজন পক্ষাঘাতীকে আনিল, সে খাটের উপরে শোয়ান ছিল। 2 যীশু তাহাদের বিশ্বাস দেখিয়া সেই পক্ষাঘাতীকে কহিলেন, বৎস, সাহস কর, তোমার পাপ ক্ষমা হইল। 3 আর দেখ, কয়েক জন অধ্যাপক মনে মনে কহিল, এই ব্যক্তি ঈশ্বর-নিন্দা করিতেছে। 4 তখন যীশু তাহাদের চিন্তা বুঝিয়া কহিলেন, তোমরা কেন মনে মনে কুচিন্তা করিতেছ? 5 কারণ, কোনটা সহজ, ‘তোমার পাপ ক্ষমা হইল’ বলা, না ‘তুমি উঠিয়া বেড়াও’ বলা? 6 কিন্তু পৃথিবীতে পাপ ক্ষমা করিতে মনুষ্যপুত্রের ক্ষমতা আছে, ইহা যেন তোমরা জানিতে পার, এই জন্য- তিনি সেই পক্ষাঘাতীকে বলিলেন- উঠ, তোমার শয্যা তুলিয়া লও, এবং তোমার ঘরে চলিয়া যাও। 7 তখন সে উঠিয়া আপন গৃহে চলিয়া গেল। 8 তাহা দেখিয়া লোকসমূহ ভীত হইল, আর ঈশ্বর মনুষ্যকে এমন ক্ষমতা দিয়াছেন বলিয়া তাঁহার গৌরব করিল।
মথির আহ্বান ও তৎসম্বন্ধে যীশুর শিক্ষা
9 আর সেই স্থান হইতে যাইতে যাইতে যীশু দেখিলেন, মথি নামক এক ব্যক্তি করগ্রহণ-স্থানে বসিয়া আছে; তিনি তাহাকে কহিলেন, আমার পশ্চাৎ আইস। তাহাতে সে উঠিয়া তাঁহার পশ্চাৎ গমন করিল।
10 পরে তিনি গৃহমধ্যে ভোজন করিতে বসিয়াছেন, আর দেখ, অনেক করগ্রাহী ও পাপী আসিয়া যীশুর এবং তাঁহার শিষ্যদের সহিত বসিল। 11 তাহা দেখিয়া ফরীশীরা তাঁহার শিষ্যদিগকে কহিল, তোমাদের গুরু কি জন্য করগ্রাহী ও পাপীদের সহিত ভোজন করেন? 12 তাহা শুনিয়া তিনি কহিলেন, সুস্থ লোকদের চিকিৎসকের প্রয়োজন নাই, বরং পীড়িতদেরই প্রয়োজন আছে। 13 কিন্তু তোমরা গিয়া শিক্ষা কর, এই বচনের মর্ম কি, “আমি দয়াই চাই, বলিদান নয়”; #হোশে ৬:৬ কেননা আমি ধার্মিকদিগকে নয়, কিন্তু পাপীদিগকে ডাকিতে আসিয়াছি।
14 তখন যোহনের শিষ্যগণ তাঁহার নিকটে আসিয়া কহিল, ফরীশীরা ও আমরা অনেক বার উপবাস করি, কিন্তু আপনার শিষ্যগণ উপবাস করে না, ইহার কারণ কি? 15 যীশু তাঁহাদিগকে কহিলেন, বর সঙ্গে থাকিতে কি বাসর ঘরের লোকে বিলাপ করিতে পারে? কিন্তু এমন সময় আসিবে, যখন তাহাদের নিকট হইতে বর নীত হইবেন; তখন তাহারা উপবাস করিবে। 16 পুরাতন বস্ত্রে কেহ নূতন কাপড়ের তালি দেয় না, কেননা তাহার তালিতে বস্ত্র ছিঁড়িয়া যায়, এবং আরও মন্দ ছিদ্র হয়। 17 আর লোকে পুরাতন কূপায় নূতন দ্রাক্ষারস রাখে না; রাখিলে কূপাগুলি ফাটিয়া যায়, তাহাতে দ্রাক্ষারস পড়িয়া যায়, কূপাগুলিও নষ্ট হয়; কিন্তু লোকে নূতন কূপাতেই টাট্কা দ্রাক্ষারস রাখে, তাহাতে উভয়েরই রক্ষা হয়।
যীশু এক রুগ্ন স্ত্রীলোককে সুস্থ করেন, ও একটি মৃত বালিকাকে জীবন দেন #মার্ক ৫:২২-৪৩; লূক ৮:৪১-৫৬
18 তিনি তাহাদিগকে এই সকল কথা কহিতেছেন, আর দেখ, একজন অধ্যক্ষ আসিয়া তাঁহাকে প্রণাম করিয়া কহিলেন, আমার কন্যাটি এতক্ষণ মরিয়া গিয়াছে; কিন্তু আপনি আসিয়া তাহার উপরে হস্তার্পণ করুন, তাহাতে সে বাঁচিবে। 19 তখন যীশু উঠিয়া তাঁহার পশ্চাৎ গমন করিলেন, তাঁহার শিষ্যগণও চলিলেন। 20 আর দেখ, বারো বৎসর অবধি প্রদর রোগগ্রস্ত একজন স্ত্রীলোক তাঁহার পশ্চাৎ দিকে আসিয়া তাঁহার বস্ত্রের থোপ স্পর্শ করিল; 21 কারণ সে মনে মনে বলিতেছিল, উহাঁর বস্ত্রমাত্র স্পর্শ করিতে পারিলেই আমি সুস্থ হইব। 22 তখন যীশু মুখ ফিরাইয়া তাহাকে দেখিয়া কহিলেন, বৎসে সাহস কর, তোমার বিশ্বাস তোমাকে সুস্থ করিল। সেই দণ্ড অবধি স্ত্রীলোকটি সুস্থ হইল।
23 পরে যীশু সেই অধ্যক্ষের বাটীতে আসিয়া যখন দেখিলেন, বংশীবাদকগণ রহিয়াছে, ও লোকেরা কোলাহল করিতেছে, 24 তখন বলিলেন, সরিয়া যাও, কন্যাটি ত মরে নাই, ঘুমাইয়া রহিয়াছে। তখন তাহারা তাঁহাকে উপহাস করিল। 25 কিন্তু লোকদিগকে বাহির করিয়া দেওয়া হইলে তিনি ভিতরে গিয়া কন্যাটির হাত ধরিলেন, তাহাতে সে উঠিল। 26 আর এই জনরব সেই দেশময় ব্যাপিল।
যীশু দুই জন অন্ধকে ও একজন গোঁগাকে সুস্থ করেন
27 পরে যীশু সেই স্থান হইতে প্রস্থান করিলে, দুই জন অন্ধ তাঁহার পশ্চাৎ পশ্চাৎ চলিল; তাহারা চেঁচাইয়া বলিতে লাগিল, হে দায়ূদ-সন্তান, আমাদের প্রতি দয়া করুন। 28 তিনি গৃহমধ্যে প্রবেশ করিলে পর সেই অন্ধেরা তাঁহার নিকটে আসিল; তখন যীশু তাহাদিগকে কহিলেন, তোমরা কি বিশ্বাস কর যে, আমি ইহা করিতে পারি? তাহারা তাঁহাকে বলিল, হাঁ, প্রভু। 29 তখন তিনি তাহাদের চক্ষু স্পর্শ করিলেন, আর কহিলেন, তোমাদের বিশ্বাস অনুসারে তোমাদের প্রতি হউক। 30 তখন তাহাদের চক্ষু খুলিয়া গেল। আর যীশু তাহাদিগকে দৃঢ়রূপে নিষেধ করিয়া দিলেন, কহিলেন, দেখিও, যেন কেহ ইহা জানিতে না পায়। 31 কিন্তু তাহারা বহিরে গিয়া সেই দেশময় তাঁহার কীর্তি প্রকাশ করিল।
32 তাহারা বাহিরে যাইতেছে, আর দেখ, লোকেরা এক ভূতগ্রস্ত গোঁগাকে তাঁহার নিকটে আনিল। 33 ভূত ছাড়ান হইলে সেই গোঁগা কথা কহিতে লাগিল; তখন লোক সকল আশ্চর্য জ্ঞান করিয়া কহিল, ইস্রায়েলের মধ্যে এমন কখনও দেখা যায় নাই। 34 কিন্তু ফরীশীরা বলিতে লাগিল, ভূতগণের অধিপতি দ্বারা সে ভূত ছাড়ায়।
যীশু বারো জন শিষ্যকে প্রেরিতপদে নিযুক্ত করেন
35 আর যীশু সমস্ত নগরে ও গ্রামে ভ্রমণ করিতে লাগিলেন; তিনি লোকদের সমাজ-গৃহে উপদেশ দিলেন ও রাজ্যের সুসমাচার প্রচার করিলেন, এবং সর্বপ্রকার রোগ ও সর্বপ্রকার ব্যাধি আরোগ্য করিলেন। 36 কিন্তু বিস্তর লোক দেখিয়া তিনি তাহাদের প্রতি করুণাবিষ্ট হইলেন, কেননা তাহারা ব্যাকুল ও ছিন্নভিন্ন ছিল, যেন পালকবিহীন মেষপাল। 37 তখন তিনি আপন শিষ্যদিগকে কহিলেন, শস্য প্রচুর বটে, কিন্তু কার্যকারী লোক অল্প; 38 অতএব শস্যক্ষেত্রের স্বামীর নিকটে প্রার্থনা কর, যেন তিনি নিজ শস্যক্ষেত্রে কার্যকারী লোক পাঠাইয়া দেন।
Currently Selected:
:
Highlight
Share
Copy
Want to have your highlights saved across all your devices? Sign up or sign in
Copyright © 2023 Bangladesh Bible Society. All rights reserved.