মার্ক ১১
১১
যীশুর যিরূশালেমে প্রবেশ
1 পরে #মথি ২১:১-৯,১৮-২২; লূক ১৯:২৯-৩৮; যোহ ১২:১২-১৫ যখন তাঁহারা যিরূশালেমের নিকটবর্তী হইয়া জৈতুন পর্বতে বৈৎফগী ও বৈথনিয়া গ্রামে আসিলেন, তখন তিনি আপন শিষ্যদের মধ্যে দুই জনকে পাঠাইয়া দিলেন, 2 তাঁহাদিগকে বলিলেন, তোমাদের সম্মুখে ঐ গ্রামে যাও; তথায় প্রবেশ করিবামাত্র একটি গর্দভশাবক বাঁধা দেখিতে পাইবে, যাহার উপরে কোন মানুষ কখনও বসে নাই; সেটিকে খুলিয়া আন। 3 আর যদি কেহ তোমাদিগকে বলে, এই কর্ম কেন করিতেছ? তবে বলিও, ইহাতে প্রভুর প্রয়োজন আছে; তাহাতে সে তৎক্ষণাৎ সেটিকে এখানে পাঠাইয়া দিবে। 4 তখন তাঁহারা গিয়া দেখিতে পাইলেন, একটি গর্দভ-শাবক কোন দ্বারের নিকটে, বাহিরে বাঁধা রহিয়াছে, আর তাহা খুলিতে লাগিলেন। 5 তাহাতে যাহারা সেখানে দাঁড়াইয়াছিল, তাহাদের মধ্যে কেহ কেহ বলিল, গর্দভ-শাবকটি খুলিয়া কি করিতেছ? 6 তাহাতে যীশু যেমন বলিয়াছিলেন, তাঁহারা উহাদিগকে সেই মত বলিলেন, আর উহারা তাঁহাদিগকে উহা লইয়া যাইতে দিল। 7 পরে তাঁহারা সেই গর্দভ-শাবককে যীশুর নিকটে আনিয়া তাহার উপরে আপনাদের কাপড় পাতিয়া দিলেন; আর তিনি তাহার উপরে বসিলেন। 8 তখন অনেকে আপন আপন বস্ত্র পথে পাতিয়া দিল ও অন্যেরা ক্ষেত্র হইতে ডালপালা কাটিয়া পথে ছড়াইয়া দিল। 9 আর যে সকল লোক অগ্রে ও পশ্চাতে যাইতেছিল, তাহারা উচ্চৈঃস্বরে কহিতে লাগিল,
হোশান্না! ধন্য তিনি,
যিনি প্রভুর নামে আসিতেছেন!
10 ধন্য যে রাজ্য আসিতেছে,
আমাদের পিতা দায়ূদের রাজ্য;
ঊর্ধ্বলোকে হোশান্না। #গীত ১১৮:২৫,২৬
11 পরে তিনি যিরূশালেমে প্রবেশ করিয়া ধর্মধামে গেলেন, আর চারিদিকে দৃষ্টিপাত করিয়া সকলই দেখিয়া বেলা অবসান হওয়াতে সেই বারো জনের সঙ্গে বাহির হইয়া বৈথনিয়াতে গমন করিলেন।
বিশ্বাসযুক্ত প্রার্থনার বিষয়ে শিক্ষা
12 পরদিবসে তাঁহারা বৈথনিয়া হইতে বাহির হইয়া আসিলে পর তিনি ক্ষুধার্ত হইলেন; 13 এবং দূর হইতে সপত্র এক ডুমুরগাছ দেখিয়া, হয় ত তাহা হইতে কিছু ফল পাইবেন বলিয়া, কাছে গেলেন; কিন্তু নিকটে গেলে পত্র বিনা আর কিছুই দেখিতে পাইলেন না; কেননা তখন ডুমুরফলের সময় ছিল না। 14 তিনি গাছটিকে বলিলেন, এখন অবধি কেহ কখনও তোমার ফল ভোজন না করুক। এই কথা তাঁহার শিষ্যেরা শুনিতে পাইলেন।
15 পরে #মথি ২১:১২-৪৬; লূক ১৯:৪৫-৪৭; ২০:১-১৯ তাঁহারা যিরূশালেমে আসিলেন, আর তিনি ধর্মধামের মধ্যে গিয়া, যাহারা ধর্মধামের মধ্যে ক্রয় বিক্রয় করিতেছিল, তাহাদিগকে বাহির করিয়া দিতে লাগিলেন, এবং পোদ্দারদের মেজ, ও যাহারা কপোত বিক্রয় করিতেছিল, তাহাদের আসন সকল উল্টাইয়া ফেলিলেন। 16 আর ধর্মধামের মধ্য দিয়া কাহাকেও কোন পাত্র লইয়া যাইতে দিলেন না। 17 আর তিনি উপদেশ দিয়া তাহাদিগকে বলিলেন, ইহা কি লেখা নাই, “আমার গৃহকে সর্বজাতির প্রার্থনা-গৃহ বলা যাইবে”? কিন্তু তোমরা ইহা “দস্যুগণের গহ্বর” করিয়াছ। #যিশা ৫৬:৭; যির ৭:১১ 18 এই কথা শুনিয়া প্রধান যাজক ও অধ্যাপকেরা, কিরূপে তাঁহাকে বিনষ্ট করিবে, তাহারই চেষ্টা করিতে লাগিল; কেননা তাহারা তাঁহাকে ভয় করিত, কারণ তাঁহার উপদেশে সমস্ত লোক চমৎকৃত হইয়াছিল। 19 আর সন্ধ্যা হইলে তাঁহারা নগরের বাহিরে যাইতেন।
20 প্রাতঃকালে তাঁহারা যাইতে যাইতে দেখিলেন, সেই ডুমুরগাছটি সমূলে শুকাইয়া গিয়াছে। 21 তখন পিতর পূর্বকথা স্মরণ করিয়া তাঁহাকে কহিলেন, রব্বি, দেখুন, আপনি যে ডুমুরগাছটিকে শাপ দিয়াছিলেন, সেটি শুকাইয়া গিয়াছে। 22 যীশু উত্তর করিয়া তাহাদিগকে কহিলেন, ঈশ্বরে বিশ্বাস রাখ। 23 আমি তোমাদিগকে সত্য কহিতেছি, যে কেহ এই পর্বতকে বলে, ‘উপড়িয়া যাও, আর সমুদ্রে গিয়া পড়,’ এবং মনে মনে সন্দেহ না করে, কিন্তু বিশ্বাস করে যে, যাহা বলে, তাহা ঘটিবে, তবে তাহার জন্য তাহাই হইবে। 24 এই জন্য আমি তোমাদিগকে বলি, যাহা কিছু তোমরা প্রার্থনা ও যাচ্ঞা কর, বিশ্বাস করিও যে, তাহা পাইয়াছ, তাহাতে তোমাদের জন্য তাহাই হইবে। 25 আর তোমরা যখনই প্রার্থনা করিতে দাঁড়াও, যদি কাহারও বিরুদ্ধে তোমাদের কোন কথা থাকে, তাহাকে ক্ষমা করিও; 26 যেন তোমাদের স্বর্গস্থ পিতাও তোমাদের অপরাধ সকল ক্ষমা করেন। #১১:২৬ (কোন কোন প্রাচীন অনুলিপিতে এখানে এই কথা পাওয়া যায়,) কিন্তু তোমরা যদি ক্ষমা না কর, তবে তোমাদের স্বর্গস্থ পিতাও তোমাদের অপরাধ ক্ষমা করিবেন না।
যীশুর ক্ষমতা বিষয়ক শিক্ষা
27 পরে তাঁহারা আবার যিরূশালেমে আসিলেন; আর তিনি ধর্মধামের মধ্যে বেড়াইতেছেন, এমন সময়ে প্রধান যাজকেরা, অধ্যাপকগণ ও প্রাচীনবর্গ তাঁহার নিকটে আসিয়া তাঁহাকে বলিল, 28 তুমি কি ক্ষমতায় এই সকল করিতেছ? এই সকল করিতে তোমাকে এই ক্ষমতা কেই বা দিয়াছে? 29 যীশু তাহাদিগকে কহিলেন, আমিও তোমাদিগকে একটি কথা জিজ্ঞাসা করিব, আমাকে উত্তর দেও, তাহা হইলে আমি তোমাদিগকে বলিব, কি ক্ষমতায় এই সকল করিতেছি। 30 যোহনের বাপ্তিস্ম স্বর্গ হইতে হইয়াছিল, না মনুষ্য হইতে? আমাকে উত্তর দেও। 31 তখন তাহারা পরস্পর বিচার করিয়া বলিল, যদি বলি, স্বর্গ হইতে, তাহা হইলে এ বলিবে, তবে তোমরা তাঁহাকে বিশ্বাস কর নাই কেন? 32 কিন্তু মনুষ্য হইতে হইল, ইহা কি বলিব? তাহারা লোকসাধারণকে ভয় করিত, কারণ সকলে যোহনকে সত্যই ভাববাদী বলিয়া মানিত। 33 অতএব তাহারা যীশুকে এই উত্তর দিল, আমরা জানি না। তখন যীশু তাহাদিগকে বলিলেন, তবে আমিও কি ক্ষমতায় এই সকল করিতেছি, তাহা তোমাদিগকে বলিব না।
Okuqokiwe okwamanje:
মার্ক ১১: বিবিএস-গসপেল
Qhakambisa
Dlulisela
Kopisha
Ufuna ukuthi okuvelele kwakho kugcinwe kuwo wonke amadivayisi akho? Bhalisa noma ngena ngemvume
Copyright © 2023 Bangladesh Bible Society. All rights reserved.
মার্ক ১১
১১
যীশুর যিরূশালেমে প্রবেশ
1 পরে #মথি ২১:১-৯,১৮-২২; লূক ১৯:২৯-৩৮; যোহ ১২:১২-১৫ যখন তাঁহারা যিরূশালেমের নিকটবর্তী হইয়া জৈতুন পর্বতে বৈৎফগী ও বৈথনিয়া গ্রামে আসিলেন, তখন তিনি আপন শিষ্যদের মধ্যে দুই জনকে পাঠাইয়া দিলেন, 2 তাঁহাদিগকে বলিলেন, তোমাদের সম্মুখে ঐ গ্রামে যাও; তথায় প্রবেশ করিবামাত্র একটি গর্দভশাবক বাঁধা দেখিতে পাইবে, যাহার উপরে কোন মানুষ কখনও বসে নাই; সেটিকে খুলিয়া আন। 3 আর যদি কেহ তোমাদিগকে বলে, এই কর্ম কেন করিতেছ? তবে বলিও, ইহাতে প্রভুর প্রয়োজন আছে; তাহাতে সে তৎক্ষণাৎ সেটিকে এখানে পাঠাইয়া দিবে। 4 তখন তাঁহারা গিয়া দেখিতে পাইলেন, একটি গর্দভ-শাবক কোন দ্বারের নিকটে, বাহিরে বাঁধা রহিয়াছে, আর তাহা খুলিতে লাগিলেন। 5 তাহাতে যাহারা সেখানে দাঁড়াইয়াছিল, তাহাদের মধ্যে কেহ কেহ বলিল, গর্দভ-শাবকটি খুলিয়া কি করিতেছ? 6 তাহাতে যীশু যেমন বলিয়াছিলেন, তাঁহারা উহাদিগকে সেই মত বলিলেন, আর উহারা তাঁহাদিগকে উহা লইয়া যাইতে দিল। 7 পরে তাঁহারা সেই গর্দভ-শাবককে যীশুর নিকটে আনিয়া তাহার উপরে আপনাদের কাপড় পাতিয়া দিলেন; আর তিনি তাহার উপরে বসিলেন। 8 তখন অনেকে আপন আপন বস্ত্র পথে পাতিয়া দিল ও অন্যেরা ক্ষেত্র হইতে ডালপালা কাটিয়া পথে ছড়াইয়া দিল। 9 আর যে সকল লোক অগ্রে ও পশ্চাতে যাইতেছিল, তাহারা উচ্চৈঃস্বরে কহিতে লাগিল,
হোশান্না! ধন্য তিনি,
যিনি প্রভুর নামে আসিতেছেন!
10 ধন্য যে রাজ্য আসিতেছে,
আমাদের পিতা দায়ূদের রাজ্য;
ঊর্ধ্বলোকে হোশান্না। #গীত ১১৮:২৫,২৬
11 পরে তিনি যিরূশালেমে প্রবেশ করিয়া ধর্মধামে গেলেন, আর চারিদিকে দৃষ্টিপাত করিয়া সকলই দেখিয়া বেলা অবসান হওয়াতে সেই বারো জনের সঙ্গে বাহির হইয়া বৈথনিয়াতে গমন করিলেন।
বিশ্বাসযুক্ত প্রার্থনার বিষয়ে শিক্ষা
12 পরদিবসে তাঁহারা বৈথনিয়া হইতে বাহির হইয়া আসিলে পর তিনি ক্ষুধার্ত হইলেন; 13 এবং দূর হইতে সপত্র এক ডুমুরগাছ দেখিয়া, হয় ত তাহা হইতে কিছু ফল পাইবেন বলিয়া, কাছে গেলেন; কিন্তু নিকটে গেলে পত্র বিনা আর কিছুই দেখিতে পাইলেন না; কেননা তখন ডুমুরফলের সময় ছিল না। 14 তিনি গাছটিকে বলিলেন, এখন অবধি কেহ কখনও তোমার ফল ভোজন না করুক। এই কথা তাঁহার শিষ্যেরা শুনিতে পাইলেন।
15 পরে #মথি ২১:১২-৪৬; লূক ১৯:৪৫-৪৭; ২০:১-১৯ তাঁহারা যিরূশালেমে আসিলেন, আর তিনি ধর্মধামের মধ্যে গিয়া, যাহারা ধর্মধামের মধ্যে ক্রয় বিক্রয় করিতেছিল, তাহাদিগকে বাহির করিয়া দিতে লাগিলেন, এবং পোদ্দারদের মেজ, ও যাহারা কপোত বিক্রয় করিতেছিল, তাহাদের আসন সকল উল্টাইয়া ফেলিলেন। 16 আর ধর্মধামের মধ্য দিয়া কাহাকেও কোন পাত্র লইয়া যাইতে দিলেন না। 17 আর তিনি উপদেশ দিয়া তাহাদিগকে বলিলেন, ইহা কি লেখা নাই, “আমার গৃহকে সর্বজাতির প্রার্থনা-গৃহ বলা যাইবে”? কিন্তু তোমরা ইহা “দস্যুগণের গহ্বর” করিয়াছ। #যিশা ৫৬:৭; যির ৭:১১ 18 এই কথা শুনিয়া প্রধান যাজক ও অধ্যাপকেরা, কিরূপে তাঁহাকে বিনষ্ট করিবে, তাহারই চেষ্টা করিতে লাগিল; কেননা তাহারা তাঁহাকে ভয় করিত, কারণ তাঁহার উপদেশে সমস্ত লোক চমৎকৃত হইয়াছিল। 19 আর সন্ধ্যা হইলে তাঁহারা নগরের বাহিরে যাইতেন।
20 প্রাতঃকালে তাঁহারা যাইতে যাইতে দেখিলেন, সেই ডুমুরগাছটি সমূলে শুকাইয়া গিয়াছে। 21 তখন পিতর পূর্বকথা স্মরণ করিয়া তাঁহাকে কহিলেন, রব্বি, দেখুন, আপনি যে ডুমুরগাছটিকে শাপ দিয়াছিলেন, সেটি শুকাইয়া গিয়াছে। 22 যীশু উত্তর করিয়া তাহাদিগকে কহিলেন, ঈশ্বরে বিশ্বাস রাখ। 23 আমি তোমাদিগকে সত্য কহিতেছি, যে কেহ এই পর্বতকে বলে, ‘উপড়িয়া যাও, আর সমুদ্রে গিয়া পড়,’ এবং মনে মনে সন্দেহ না করে, কিন্তু বিশ্বাস করে যে, যাহা বলে, তাহা ঘটিবে, তবে তাহার জন্য তাহাই হইবে। 24 এই জন্য আমি তোমাদিগকে বলি, যাহা কিছু তোমরা প্রার্থনা ও যাচ্ঞা কর, বিশ্বাস করিও যে, তাহা পাইয়াছ, তাহাতে তোমাদের জন্য তাহাই হইবে। 25 আর তোমরা যখনই প্রার্থনা করিতে দাঁড়াও, যদি কাহারও বিরুদ্ধে তোমাদের কোন কথা থাকে, তাহাকে ক্ষমা করিও; 26 যেন তোমাদের স্বর্গস্থ পিতাও তোমাদের অপরাধ সকল ক্ষমা করেন। #১১:২৬ (কোন কোন প্রাচীন অনুলিপিতে এখানে এই কথা পাওয়া যায়,) কিন্তু তোমরা যদি ক্ষমা না কর, তবে তোমাদের স্বর্গস্থ পিতাও তোমাদের অপরাধ ক্ষমা করিবেন না।
যীশুর ক্ষমতা বিষয়ক শিক্ষা
27 পরে তাঁহারা আবার যিরূশালেমে আসিলেন; আর তিনি ধর্মধামের মধ্যে বেড়াইতেছেন, এমন সময়ে প্রধান যাজকেরা, অধ্যাপকগণ ও প্রাচীনবর্গ তাঁহার নিকটে আসিয়া তাঁহাকে বলিল, 28 তুমি কি ক্ষমতায় এই সকল করিতেছ? এই সকল করিতে তোমাকে এই ক্ষমতা কেই বা দিয়াছে? 29 যীশু তাহাদিগকে কহিলেন, আমিও তোমাদিগকে একটি কথা জিজ্ঞাসা করিব, আমাকে উত্তর দেও, তাহা হইলে আমি তোমাদিগকে বলিব, কি ক্ষমতায় এই সকল করিতেছি। 30 যোহনের বাপ্তিস্ম স্বর্গ হইতে হইয়াছিল, না মনুষ্য হইতে? আমাকে উত্তর দেও। 31 তখন তাহারা পরস্পর বিচার করিয়া বলিল, যদি বলি, স্বর্গ হইতে, তাহা হইলে এ বলিবে, তবে তোমরা তাঁহাকে বিশ্বাস কর নাই কেন? 32 কিন্তু মনুষ্য হইতে হইল, ইহা কি বলিব? তাহারা লোকসাধারণকে ভয় করিত, কারণ সকলে যোহনকে সত্যই ভাববাদী বলিয়া মানিত। 33 অতএব তাহারা যীশুকে এই উত্তর দিল, আমরা জানি না। তখন যীশু তাহাদিগকে বলিলেন, তবে আমিও কি ক্ষমতায় এই সকল করিতেছি, তাহা তোমাদিগকে বলিব না।
Okuqokiwe okwamanje:
:
Qhakambisa
Dlulisela
Kopisha
Ufuna ukuthi okuvelele kwakho kugcinwe kuwo wonke amadivayisi akho? Bhalisa noma ngena ngemvume
Copyright © 2023 Bangladesh Bible Society. All rights reserved.